[ad_1]
ভারতের জীতি জাগানিয়া পেস আক্রমণের অন্যতম অংশ মোহাম্মদ শামি। গত কয়েক বছরে উন্নতি করে অধিনায়ক বিরাট কোহলির অন্যতম আস্থার জায়গা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু এই সফল হওয়ার পেছনে ভূমিকা কার? শামি নাম নিলেন এক পাকিস্তানি কিংবদন্তির
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছেন ২০১৩ সালের শুরুর দিকে।
সাত বছর আগে ক্যারিয়ার শুরু করলেও প্রথম কয়েক বছর নিজেকে ভারতীয় দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রমাণ করতে পারেননি। মূল একাদশে জায়গা পাওয়ার জন্য নিয়মিত লড়াই করতে হয়েছে মোহিত শর্মা, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মাদের সঙ্গে। এমনকি ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় দশ বছর ধরে বাংলার হয়ে খেললেও আইপিএলের তৎকালীন চ্যাম্পিয়ন দল কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁকে এক মৌসুমের বেশি দলে রাখেনি।
তবে এখনকার কথা ভিন্ন। যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমারদের পাশাপাশি মোহাম্মদ শামির নাম না নিলে যেন ভারতের বর্তমান ‘পেস ব্যাটারি’ ঠিক পূর্ণতা পায় না। কিন্তু গত কয়েক বছরে শামির এই উন্নতির রহস্য কী? শামি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন পাকিস্তানের এক কিংবদন্তির নাম।
তিনি আর কেউ নন, পাকিস্তানের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। বাংলার আরেক সফল ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিওতে কথা বলতে গিয়ে ওয়াসিমের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেন শামি।
ওয়াসিম কীভাবে বল করেন, সেটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লক্ষ্য করতেন শামি, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ যখন হতো, ওয়াসিম কীভাবে বল করেন, সেটা লক্ষ্য করতাম আমি।’
এক মৌসুম কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে যখন খেলেছিলেন, তখন শামি বোলিং কোচ হিসেবে পান এই কিংবদন্তিকে। ওয়াসিমকে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে ধরা দেয় শামির, ‘কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে যখন খেলতাম, ওয়াসিম আমাদের বোলিং মেন্টর ছিলেন। তখন উনাকে কাছ থেকে দেখতে পেয়েছি, হাতে-কলমে অনেক কিছুই শেখার সুযোগ পেয়েছি। ‘
‘আইডল’কে সামনাসামনি দেখতে পেয়ে নিজে থেকে কথার সুযোগ করে উঠতে পারেননি শামি,’ শুরুতে উনার সঙ্গে তেমন একটা কথা হতো না আমার। পরে উনিই এসে আমাকে পরামর্শ দেওয়া শুরু করেন। উনার মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে পেলে চাইলেও দূরে সরে থাকা যায় না। তাই যত বেশ সম্ভব শিখে নেওয়া উচিত। আর সেটাই করেছি আমি। ‘
শুধু ওয়াসিমই নন, শামির সম্মান পেয়েছেন ভারতীয় পেসার জহির খানও। ওয়াসিম যেমন কলকাতায় শামির মেন্টর ছিলেন, তেমনি দিল্লিতে এসে জহিরকে মেন্টর হিসেবে পান এই পেসার, ‘জহির ভাই আর আমি কখনো একসঙ্গে খেলিনি। কিন্তু দিল্লি ক্যাপিটালস (তৎকালীন দিল্লি ডেয়ারডেভিলস) এর হয়ে খেলার সময় উনাকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলাম। যখনই উনার কাছে পরামর্শ চেয়েছি, উনি এগিয়ে এসেছেন। নতুন বলে কীভাবে বল করতে হয়, উনার কাছে শিখেছি আমি। ‘
শামিকে ঋদ্ধ করার জন্য জহির যেমন ভারতীয় সমর্থকদের বাহবা পাবেন, পাকিস্তানি সমর্থকেরা ওয়াসিমের এই ‘ভূমিকা’ দেখে আরও বেশি হতাশ হয়ে পড়বেন হয়তো!
[ad_2]