[ad_1]
কাবা শরীফের ওপর শিব মন্দিরের ছবি লাগিয়ে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেওয়ায় গোপালগঞ্জে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। অঞ্জন কুমার বিশ্বাস নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ওই ষ্ট্যাটাস দেওয়া হয়।
আটক যুবকের নাম অঞ্জন বিশ্বাস। সে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের বৌলতলী গ্রামের নির্মল বিশ্বাসের ছেলে। বৌলতলী বাজারে কম্পিউটার ও ফটোকপির ব্যবসা করে এই যুবক।
স্থানীয় বাসিন্দা ও তাঁর ফেসবুকে ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা বেশ কয়েক জন জানান, কাবা শরিফের ছবির উপর শিবের মূর্তি ও শিব লিঙ্গের ছবি দিয়ে অঞ্জন তার ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস দেয় এবং মক্কা লেখা প্রথমে ছিলো শিবের মন্দির প্রমাণ মিলল ‘। এই ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টায় অঞ্জন তার ষ্ট্যাটাস উঠিয়ে নিয়ে নতুন আরো একটি ষ্ট্যটাস দেয়, তাতে লেখা ছিলো ‘আমার শেয়ার করা পোষ্টটি যাচাই না করে শেয়ার করার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। আমার শেয়ার করা পোষ্টটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনাকাঙ্খিত ভুলের জন্য আমি অনুতপ্ত। আপনারা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেন। ‘
প্রতক্ষ্যদর্শী আরিফ হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ফেসবুকের মাধ্যমে জানার পর দুপুরের বৌলতলী বাজারে ২০০ থেকে ৩০০ লোক জড়ো হয় এবং অঞ্জনকে খোজাঁখুজি করে। আমরা কয়েক জন তাদের শান্ত করি। এরপর প্রশাসনকে জানালে পুলিশ বিকেলে অঞ্জনকে নিয়ে যায়।
এদিকে ফেসবুক ব্যবহারকারী বেশ কয়েকজন বলেন, এলাকার জনগণ যেভাবে জড়ো হয়েছিলো তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারত। অঞ্জন কাবা শরিফের উপরে যে ছবি দিয়েছে তা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে বৌলতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, অঞ্জন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে যে স্ট্যাটাসটি দিয়েছিলো তা অত্যান্ত দুঃখজনক। আমি বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বলেছিলাম তুমি কেনো এই ধরনের ষ্ট্যাটাস দিয়েছো। জনগণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তোমাকে কিছু বলেনি।
এ ব্যপারে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সানোয়ার হোসেন বলেন, অঞ্জন আমাদের হেফজতে আছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এ ঘটনার পর এলাকা শান্ত আছে।
[ad_2]