[ad_1]
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তৈরি করা করোনাভাইরাসের টিকা আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক এ তথ্য জানিয়েছেন।
হ্যানকক বলেন, ‘অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা বৃহস্পতিবারই মানবদেহে করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু করবেন। সাধারণ সময়ে টিকা তৈরির এ পর্যায়ে পৌঁছতে বছরের পর বছর লেগে যায়, কিন্তু এবার বিজ্ঞানীরা দিনরাত পরিশ্রম করে দ্রুত এটা তৈরি করেছেন। এ জন্য আমরা গর্বিত। ’
তিনি বলেন, ‘আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত প্রথম ধাপে ৫০০ জনের দেহে পরীক্ষামূলক এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। পরীক্ষা সফল হলে দ্বিতীয় ধাপে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে আরো কয়েক হাজার মানুষের দেহে। ’
মানবদেহে টিকাটির পরীক্ষা সফল হলে এ বছর সেপ্টেম্বরে লাখ লাখ ডোজ টিকা বাজারে ছাড়া সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনোলজি অধ্যাপক ড. সারাহ গিলবার্ট বলেন, কার্যকর একটি ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণায় সাধারণত ১৮ মাস লেগে যায়।
তার পরও তাঁর টিম এখন যে টিকা তৈরি করছে, সেটি সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকেই ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী হ্যানকক করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রস্তুতের এ প্রচেষ্টায় সব ধরনের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ প্রক্রিয়ার জন্য নতুন করে তহবিল বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটেনের সরকার করোনার টিকা তৈরির জন্য অক্সফোর্ডের ওই বিজ্ঞানীদের ২০ মিলিয়ন পাউন্ড দিচ্ছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে করোনাভাইরাসকে হার মানানোর সবচেয়ে ভালো পন্থা হচ্ছে টিকা। তবে রোগটি নতুন হওয়ায় আগেভাগে নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়।
ভ্যাকসিন তৈরিটা হচ্ছে ‘ট্রায়াল অ্যান্ড এরর’ এবং আবার ট্রায়ালের (ভুল শোধরানোর জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা) একটি প্রক্রিয়া। এভাবেই ভ্যাকসিন তৈরি হয়।
টিকা তৈরির এ প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্য সামনের সারিতে আছে এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজও টিকা তৈরিতে কাজ করছে বলে জানান হ্যানকক।
বিশ্বে বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উদ্ভাবনের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। মানবদেহে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ এরই মধ্যে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে। অক্সফোর্ড শুরু করলে তা হবে তৃতীয় পরীক্ষা।
মানবদেহে করোনার টিকা পরীক্ষার অনুমোদন দিল জার্মানিও: এদিকে জার্মানিতে গবেষকদের উদ্ভাবিত করোনার টিকা প্রথমবারের মতো মানবদেহে পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির ভ্যাকসিনেস রেগুলেটর। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রায়ালটিতে প্রথম পর্যায়ে ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী ২০০ জন স্বাস্থ্যবান মানুষের শরীরে এই টিকা প্রয়োগ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে টিকাটি কভিড -১৯ রোগে আক্রান্ত কয়েকজনের ওপর প্রয়োগ করা হবে।
স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে যে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করা হবে সেটি বিএনএটি ১৬২ নামে পরিচিত। জার্মান ফার্মা বায়োটেক ও মার্কিন ফিজার কম্পানি যৌথভাবে টিকাটি তৈরি করেছে। সূত্র: বিবিসি, এনডিটিভি।
[ad_2]