[ad_1]
সম্প্রতি বছরগুলোতে চাল উৎপাদন বেড়েছে বাংলাদেশে। এই বছরও প্রচুর পরিমাণে ধান উৎপাদন হয়েছে কৃষকের মাঠে। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এই বছরও প্রচুর চাল উৎপাদন হতে পারে। ধারাবাহিকভাবে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় চাল উৎপাদনে তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) উৎপাদন তিন কোটি ৬০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এই পূর্বাভাস দিয়েছে।
চাল উৎপাদনের তিন নম্বর স্থানটি দখলে ছিল ইন্দোনেশিয়ার। আর প্রথম স্থানে চীন এবং দ্বিতীয় স্থানে ভারত ছিল। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে চীন-ভারত থাকলেও তিন নম্বর স্থানটিতে পরিবর্তন আসছে এবার। দখল করে নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরে আমন মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। আবার গত আউশ মৌসুমেও চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে চার লাখ টন বাড়তে পারে চালের উৎপাদন। তিন মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্মিলিত ফলাফলই বাংলাদেশ শীর্ষ তিনে চলে আসার মূল কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বুধবার বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ তৃতীয় হওয়ার এ পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কৃষিপণ্যের উৎপাদনের তুলনা করা হয়েছে।
মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে সারা বিশ্বে ৫০ কোটি ২০ লাখ টন ছাড়াতে পারে চালের উৎপাদন, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ বেশি। চীন সবচেয়ে বেশি চাল উৎপাদন করবে। দেশটি চলতি অর্থবছরে ১৪ কোটি ৯০ লাখ টন চাল উৎপাদনের মাধ্যমে শীর্ষে অবস্থান করবে।
চীনের পরই আছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। দেশটির চাল উৎপাদন দাঁড়াবে ১১ কোটি ৮০ লাখ টন। এর পরই ৩ কোটি ৬০ লাখ টন উৎপাদন নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসবে বাংলাদেশ। আর দীর্ঘদিন ধরেই তিন নম্বর স্থানটি দখলে রাখা ইন্দোনেশিয়া এবার চতুর্থ অবস্থানে নেমে আসবে। দেশটিতে চালের উৎপাদন হবে ৩ কোটি ৪৯ লাখ টন।
[ad_2]