অন্যান্য দেশের তুলনায় করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী



[ad_1]

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসে যেভাবে মানুষ আক্রান্ত ও মারা যাচ্ছে, তার তুলনায় আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।’ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার হয়ে পড়াদের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে সরাসরি অর্থ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে লাভবান হয়েছে প্রকৃতি। জলবায়ুর কারণে পরিবেশ-প্রতিবেশ নষ্ট হচ্ছিল। প্রকৃতি কিন্তু তার আপন গতিতে ফিরে যাচ্ছে। এটি একটি অদ্ভুত ব্যাপার। এ ধরনের ঘটনা কিন্তু পৃথিবীতে আর কখনো ঘটেনি। অনেক মহামারির কাহিনি জানি, দুর্ভিক্ষের কাহিনি জানি। কিন্তু এবারের বিষয়টা ভিন্ন। ’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আহত মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিত মা-বোনদের সহযোগিতা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোনো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশই এ অবস্থায় এত সহজে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশে অগ্রগতি থেমে গিয়েছিল। এরপর আমরা ২১ বছর পর ক্ষমতায় এলে আবার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি শুরু হয়। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের দায়িত্বভার যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়েছিলেন, তখন কোনো সঞ্চয় ছিল না, ব্যাংকে কোনো জামানতও ছিল না। বঙ্গবন্ধু মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছিলেন। এমন কিছু ছিল না, যা রিলিফে দেওয়া হয়নি। ’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, বাংলাদেশে তখন মঙ্গা থাকে না, দারিদ্র্য থাকে না। এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১ অর্জন করেছিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা যখন আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, এমন সময় এমন একটি অদৃশ্য শক্তির আঘাত, যার ফলে সমগ্র বিশ্ব একেবারে থমকে গেছে। সারা বিশ্ব অর্থনৈতিকভাবে আক্রান্ত। ’

করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করছে, আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। এই যে একটি অদৃশ্য শক্তির হঠাৎ আক্রমণ এবং এর ফলে কিন্তু সবাই বিপর্যস্ত। আমাদের ভূখণ্ড ছোট, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অর্থনীতি সচল রাখা উচিত। এ জন্য আমাদের রয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। অন্যান্য দেশে যেভাবে মৃত্যু কিংবা আতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে এবং মারা গেছে, এর তুলনায় আমরা কিন্তু অনেক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি। ’

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘মানুষের জীবনে প্রয়োজনটা অনেক বেশি। মানুষের ক্ষুধার জ্বালাটা কিন্তু আমরা বুঝি। এ জন্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। এমন একটি অদৃশ্য শক্তি মোকাবিলা করতে কিন্তু কোনো দেশই পারছে না। কত শক্তিশালী দেশকে আমরা দেখেছি, এই করোনাভাইরাস শক্তির কাছে সারেন্ডার করতে হচ্ছে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৫০ লাখ পরিবারের মধ্যে সহায়তা প্রদান করব। আমরা আগেই আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ভাতা ও ১০ টাকা কেজিতে চালের ব্যবস্থা করেছি। ওই সুবিধা যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁদের বাইরে যাঁরা বর্তমানে অসহায় হয়ে পড়েছেন, তাঁরাই কেবল এই সহায়তা পাবেন। এই লক্ষ্যে আমরা এক হাজার ২৫০ কোটি টাকার ব্যবস্থা করেছি। এর আওতায় আড়াই হাজার টাকা করে প্রত্যেক পরিবার পাবে। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঝামেলা না হয়, সে জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই টাকা পৌঁছে দেব। এর কোনো বাড়তি চার্জও লাগবে না। ’তিনি আরো বলেন,‘ আমরা জানি, সুবিধাপ্রাপ্তদের জন্য এটি বিশেষ কিছু নয়। তবু এখন রমজান মাস চলছে, সামনে ঈদ। এই সময় আপনাদের যে কিছু দিলাম, এটিই সান্ত্বনা। আপনারা ধৈর্য হারাবেন না। চলমান পরিস্থিতি থেকে আমরা মুক্তি পাব ইনশাল্লাহ। ’



[ad_2]