হালদায় ডলফিন শিকার – হত্যা নয়, ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ



[ad_1]

ফাইল ছবি চট্টগ্রামের হালদা নদীতে যাতে আর ডলফিন শিকার বা হত্যা না নির্দেশ দিয়েছেন হাইকে র্ট. ডলফিন শিকার বা হত্যা রোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা ই-মেইলের মাধ্যমে আগামী 7২ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীদের জানাতে বলা হয়েছে.

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে এক রিটের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে উচ্চ আদালতে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে শুনানি নিয়ে দেওয়া প্রথম আদেশ এটি।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতি ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ১৯ মে পরবর্তী আদেশের জন্য আসবে।

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুনানির জন্য গতকাল সোমবার হাইকোর্টের ওই বেঞ্চে ই-মেইলের মাধ্যমে রিটটি দাখিল করেন আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ূম। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যম ব্যবহার করে করা প্রথম রিট এটি।

এই রিটের ওপর আজ শুনানি হয়। শুরুতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য ভার্চ্যুয়াল কোর্টব্যবস্থা প্রবর্তন করায় রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ধন্যবাদ জানান। বিচারপতি বলেন, দেশে ই-জুডিশিয়ারি প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে এই ভার্চ্যুয়াল আদালত।

রিটের পক্ষে আবেদনকারী এম আব্দুল কাইয়ূম নিজে ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে শুনানিতে অংশ নেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও অমিত তালুকদার।

পরে আইনজীবী এম আব্দুল কাইয়ূম প্রথম আলোকে বলেন, হালদা নদীতে ইতিমধ্যে ২৪ টি ডলফিন মারা গেছে। এর মধ্যে অনেক ডলফিন হত্যার শিকার বলে হালদা গবেষকদের বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। যে কারণে বিপন্নপ্রায় ওই সব ডলফিন রক্ষায় নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। আদালত ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুনানি নিয়ে ওই নির্দেশ দেন। ভার্চ্যুয়াল শুনানির পর দেওয়া প্রথম আদেশ এটি।



[ad_2]