ব্যাংকের টাকার বস্তার খোঁজ মেলেনি, গাড়ির চারজনই গ্রেপ্তার



[ad_1]

যে গাড়ি থেকে টাকার বস্তা খোয়া গেছে, সেই গাড়ির দায়িত্বে থাকা ব্যাংকের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা, একজন গাড়িচালক ও দুইজন নিরাপত্তাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তবে তাদের কাছ থেকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান।

টাকার বস্তাটির হদিস এখনও পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এজন্য কাজ করছে পুলিশ। সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা দেখা হচ্ছে। ”

বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ওই গাড়ি রোববার পুরান ঢাকার বিভিন্ন শাখায় ঘুরে টাকা সংগ্রহ করে। মতিঝিলে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের দিকে রওনা হওয়ার পর বাবুবাজারের কাছে আসার পর নিরাপত্তাকর্মীরা দেখতে পান, বাংলাবাজার শাখা থেকে ৮০ লাখ টাকা তোলা হয়েছিল যে বস্তায়, সেটা গাড়িতে নেই।

রাতেই ব্যাংকের দিলকুশা শাখার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুর রহমান কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন।

পুলিশ সেদিনই
ওই গাড়ির দায়িত্বে থাকা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম ডন (৪৩), গাড়িচালক
আব্দুল লতিফ (৫৫), দুজন নিরাপত্তাকর্মী শাহ আলম (৫০) ও ইউনুস আলী (৫০) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ
করে।

মঙ্গলবার
তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞসাবাদের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে একদিনের পুলিশ হেফাজতে
নেওয়া হয়।

ঢাকার মুখ্য
মহানগর মহানগর হাকিম আদালতে তাদের হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা, কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক শাওন কুমার বিশ্বাস।

অন্যদিকে
আসামিদের জামিন চেয়ে তাদের আইনজীবীরা বলেন, বাইরের কোনো লোক এটা করেছে। এরা জড়িত থাকলে
ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এজাহারে তাদের নাম আসামির তালিকায় উল্লেখ করত।

শুনানি শেষে
মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল জামিন আবেদন নাকচ করে চারজনকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠান।

ওসি মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জিজ্ঞাসাবাদে এখনও তাদের কাছ থেকে তেমন গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি।”

এই চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর কারণ কী- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তাদের হেফাজত থেকে বা যেভাবে খোয়া যাক না কেন, তাদের অবহেলার কারণেই তো খোয়া…। এই দায় তো তারা এড়াতে পারেন না। ”

মামলার পর ন্যাশনাল ব্যাংকের ডিএমডি এএসএম বুলবুলও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “এর পেছনে যারাই থাক না কেন, গাড়িতে আমাদের যে কর্মীরা ছিল, তাদের দায় নিতে হবে।”



[ad_2]