[ad_1]
ঈদের কেনাকাটা না করে সেই অর্থ অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে বণ্টন করে দেওয়ার জন্য সারা দেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আজ শনিবার সকালে সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এবার ঈদ এসেছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, ভিন্ন বাস্তবতায়। দেশ পার করছে সংকটকাল। এই পরিস্থিতিতে আমি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঈদের শপিং না করে এর অর্থ অসহায়, কর্মহীন জনগণের মাঝে বণ্টনের আহ্বান জানাচ্ছি। এভাবেই আমরা এবারের ঈদ উদযাপন করতে চাই। চাই ত্যাগের মহিমায় নিজেদের অসহায় মানুষের সঙ্গে একা করতে। পাশাপাশি ঈদের কেনাকাটায় সংযম ও পরিমিতিবোধ বজায় রাখার জন্য বিত্তবান ও ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ’
গুজব ও অপপ্রচার ভাইরাসের চেয়ে ভয়ঙ্কর দাবি করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, এক শ্রেণির মানুষ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। কোনো ঘটনা না ঘটলেও তা রটানো হচ্ছে, এসব গুজব ও অপপ্রচার ভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর। ’
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার চর্চার ক্ষেত্রে জনগণকে আরো কঠোর হতে হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে যারা ঘরে অবস্থান করছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন, তাদের জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ। মনোবল হারালে চলবে না আমাদের। মাস্ক পরিধান, হাত ধোয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার যে প্রতিরোধ ব্যবস্থা, তা চর্চায় আমাদের আরো কঠোর হতে হবে। ’
‘আমাদের পাশের দেশ ভারতের পরিস্থিতি আরো খারাপ হলেও তারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন শিথিল করেছে। বিভিন্ন দেশে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে লকডাউন শিথিল করেছে। জীবনের পাশাপাশি জীবিকার চাকাও সচল রাখতে হবে। তাই সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ছুটি শিথিল করেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে। ’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আমাদের অর্থনীতিতে উৎসবকেন্দ্রিক অর্থনীতির একটা প্রভাব আছে। সরকার শপিংমলে যাওয়ার বিষয়টি জনগনের উপর ছেড়ে দিয়েছে। তবে, সেক্ষেত্রে শপিংমলে যাওয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি প্রশাসনের নজরদাড়িতে থাকবে।
বিএনপি নেতাদের সরকারে বিরুদ্ধে বিষোদগার না করে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
[ad_2]