[ad_1]
বরগুনার আমতলী উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান করোনাভাইরাসে হয়েছেন। এ ঘটনায় আজ নিবার ওই চেয়ারম্যানের আমতলী পৌর শহরের বাসাসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন. আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন.
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে আরও জানা গেছে, আমতলী উপজেলার ওই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি সম্প্রতি বিশেষ কাজে ঢাকায় যান। ঢাকা থেকে আসার পর ইউপি চেয়ারম্যান অসুস্থ হয়ে পড়েন। ৭ মে পরিবারের লোকজন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাঁর অসুস্থতার বিষয়ে খবর পাঠান। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা তাঁর বাসায় এসে নমুনা সংগ্রহ করেন। ওই দিনই তাঁর নমুনা ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইসিডিআর) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। শনিবার দুপুরে তাঁর নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। ওই নমুনা প্রতিবেদনে তিনি করোনা ‘পজিটিভ’ উল্লেখ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর আমতলী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসায় আইসোলেশনে আছেন এবং চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওই ইউপি চেয়ারম্যানসহ আমতলী উপজেলায় করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে গত ৯ এপ্রিল এক আওয়ামী লীগ নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। পরে ১০ এপ্রিল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বরগুনা জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ আমতলী উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করেন। এদিকে ঢাকা থেকে আমতলীতে আসার পর ওই ইউপি চেয়ারম্যান তাঁর ইউনিয়নের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। এতে ওই ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, ‘চেয়ারম্যান কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ। তাঁকে দেখতে রাজনৈতিক নেতাসহ ইউনিয়নের বিভিন্ন লোক বাড়িতে এসেছেন। এ কারণে আমরা আতঙ্কে আছি। ’
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, করোনায় আক্রান্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাসার আইসোলেশনে আছেন। তাঁকে সেখানে যথারীতি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বাসাসহ পাঁচটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। তাঁকে বাসার আইসোলেশনে রেখেই চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[ad_2]