[ad_1]
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে গত ২৭ এপ্রিল করোনা পরীক্ষার ফলাফলে ৬৭ জনের করোনা পজিটিভ আসে। পরে সন্দেহ হলে এদের নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার রাতে পুনঃ পরীক্ষার পর তাদের মধ্যে ৬৫ জনের করোনা নেগেটিভ বলে ঘোষণা করা হয়।
এতে মাত্র দুজনের নমুনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে। তারা মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গার বাসিন্দা। গত ৩০ এপ্রিল রাতে পুনঃ পরীক্ষার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ (আইপিএইচ) কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাবে বৃহত্তর কুষ্টিয়ার (কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা) ১৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের করোনা পজিটিভ এলে তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ও ফ্ল্যাট লকডাউন করে দেয় প্রশাসন।
এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ১৮ জন, চুয়াডাঙ্গার ২৮ জন ও মেহেরপুরের ২১ জন ছিল। এতে কুষ্টিয়া অঞ্চলের মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে কর্তৃপক্ষ পরদিন ওই প্রতিবেদন স্থগিত ঘোষণা করে পুনঃ পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠায়।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘পুনঃ পরীক্ষার পর আমরা ৬৭ জনের প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। এর মধ্যে দুজনের করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত হয়েছে। ’
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আশরাফুল হক দারা বলেন, ‘প্রথম পরীক্ষার পর রিপোর্টগুলো পজিটিভ-নেগেটিভের মাঝামাঝি ছিল। পরে আমরা নমুনা ঢাকায় পাঠাই। এতে মাত্র দুজনের করোনা পজিটিভ আসে। ’
এদিকে নড়াইলে করোনা আক্রান্ত রোগীর নমুনা পরীক্ষায় ধীরগতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে বিপুলসংখ্যক নমুনার কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। যেটি বাতিল বা অপারগতা হিসেবে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জেলার ৩০৭ টি প্রাপ্ত নমুনার মধ্যে ৯২ টিই বাতিল করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ল্যাব।
জেলা সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, জেলার তিন উপজেলায় গতকাল পর্যন্ত ৩২৪ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এর মধ্যে ৩০৭ টি নমুনার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। সংগৃহীত নমুনার মধ্যে ২১৫ টির ফল পাওয়া গেলেও বাকি ৯২ টির কোনো ফল আসেনি। অর্থাৎ তা বাতিল করা হয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহাবুর রহমান বলেন, ‘আমার মনে হয়, যশোর ল্যাবে নমুনা পাঠানোর পরে তা দেরিতে পরীক্ষার কারণে নষ্ট করা হয়েছে।’
[ad_2]