[ad_1]
কাজল ও ফাতেমা দম্পতির স্বপ্ন ছিল সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ করবেন। এজন্যই দেশে স্ত্রী-সন্তানদের রেখে প্রবাসে থাকতেন কাজল। ছেলেমেয়েদের মানুষই করেই দেশে ফিরবেন তিনি। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না। তার আগেই দুর্বৃত্তরা গলাকেটে হত্যা করলো কাজলের তিন সন্তান ও স্ত্রীকে।
কাজল-ফাতেমার তিন সন্তানের মধ্যে নুরা সবার বড়। সে মেধাবীও ছিল। তাই বাবা-মার বিশেষ নজরই ছিল তার ওপর। প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে কথা বলতো না সে। স্কুলের সময়ের বাইরে সারাক্ষণ লেখাপড়া করতো। শিক্ষা জীবনের প্রতিটি পদে পদে সে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিল। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের আবদার গ্রামে নিজ বাড়িতে সেও খুন হয়।
স্থানীয় এইচ এ কে একাডেমি থেকে নুরা এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। কিন্তু ফল প্রকাশের আগেই দুর্বৃত্তের হাতে প্রাণ হারালো সে।
নুরার দাদা আবুল হোসেন জানান, তার ছেলে কাজলের স্বপ্ন ছিল সন্তানদের মানুষ করেই প্রবাস থেকে ফিরবে। ছেলে প্রবাসে থাকায় তিনি মাঝে মাঝে পুত্রবধূ ও নাতনিদের খোঁজখবর নিতে আসতেন। তার পুত্রবধূ খুব ধার্মিক ছিলো। তার নাতনিরা মেধাবী ছিল। বিশেষ কোনও প্রয়োজন না হলে তারা কেউ বাসা থেকে বের হতো না। এ হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তার ছেলের স্বপ্নও নিভে গেল।
এইচ এ কে একাডেমির পরিচালক শাহীন সুলতানা জানান, নুরা প্রতিটি পরীক্ষায়সফলতার স্বাক্ষর রেখেছিল। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও পেয়েছিল। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে অংশ নিয়েছিল। এবারও তার ভালো ফল করার কথা রয়েছে।গোল্ডেন জিপিএ -৫ পেয়ে সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিও পেয়েছিল। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে অংশ নিয়েছিল। এবারও তার ভালো ফল করার কথা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, নুরা স্কুলের শিক্ষকদের বলেছিল সে বড় হয়ে চিকিৎসক হয়ে দেশের অবহেলিত, খেটে খাওয়া মানুষের সেবা করবে। তার মা প্রায় স্কুলে এসে মেয়ের লেখাপড়ার খবর নিতেন। নুরা খুবই ভদ্র ছিল। তার মার্জিত আচরণের কারণে সবার বিশেষ নজরেই থাকতো সে। অকালেই নুরার মতো একটি মুকুল এভাবে ঝরে যাবে তা বিশ্বাসই হচ্ছে না। যারা তাকে হত্যা করেছে তাদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
[ad_2]