[ad_1]
এরইমধ্যে জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য-উপাত্ত গ্লোবাল জিনোম ডেটাবেইজে (জিআইএসএআইডি) জমা দেওয়া হয়েছে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে।
মঙ্গলবার তাদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুজীববিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ঢাকার গবেষণাগারে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পুরো কাজ হয়েছে।
জিনোম হলো প্রাণি বা উদ্ভিদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা। কোনো প্রাণি বা উদ্ভিদের জিনোমে নিউক্লিওটাইডগুলো কীভাবে বিন্যস্ত আছে তার লিপিবদ্ধ করাকে বলে জিনোম সিকোয়েন্সিং। এই নকশার ওপরই নির্ভর করে ওই প্রাণি বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, “সাধারণত ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করা কিছুটা দুঃসাধ্য। সেখানে নভেল করোনাভাইরাসের মতো একটি সংক্রমণশীল ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করা খুবই কঠিন। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ভাইরাসটিকে নিষ্ক্রিয় করে মেটাজিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজটি সম্পন্ন করেছে। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই বাংলাদেশের আরও কিছু স্থানের নমুনা থেকে আরও কিছু ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করতে সক্ষম হব, যা আমাদের ভাইরাসটির উৎপত্তি, গতি প্রকৃতি বুঝতে ও প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে সহায়তা করবে। ”
এই কাজে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইইডিসিআর, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং চ্যান জুকারবার্গ বায়োহাব / ইনিশিয়েটিভ সার্বিক সহযোগিতা দিয়েছে বলে তারা জানিয়েছে।
প্রথম করোনাভাইরাস আবিষ্কার করেন যে নারী
নতুন করোনাভাইরাসের ঠিকুজি তালাশ
নতুন করোনাভাইরাস আসলে ছড়ালো কীভাবে?
করোনাভাইরাস: যা যা জানা দরকার
করোনাভাইরাস মানুষের তৈরি নয়: গবেষণা
নতুন করোনাভাইরাসের ‘উৎস এখনও রহস্যাবৃত’, বলছে উহানের ল্যাব
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. সমীর কুমার সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলে ভাইরাসটির গতি, প্রকৃতি ও ধরন সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
“এর ফলে আমরা জানতে পারব, আমাদের এখানে ভাইরাসটি মোকাবেলায় কোন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে। এখানে বড় বিষয় হল, বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েরা, বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা বাংলাদেশে বসে সিকোয়েন্সিংটা করেছে। তার মানে হল, বাংলাদেশে এই ভাইরাসের আরও সিকোয়েন্সিং করা যাবে। আমরা হয়ত আগামী এক-দুই সপ্তাহের মধ্যে আরও অনেক সিকোয়েন্সিং করে আপনাদের বলতে পারব।
“আমরা যখন আরও সিকোয়েন্সিং করতে পারব তখন বুঝতে পারব, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন বা কোন ওষুধ কতটা কাজ করবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণাগারে আনুবীক্ষণিক যন্ত্রে দেখা নতুন করোনাভাইরাস
এখানে যে ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়েছে তার সঙ্গে রাশিয়া ও সৌদি আরবের ভাইরাসের মিল পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
তাদের এই জিনোম সিকোয়েন্সিং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কতটা কাজে আসতে পারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জৈব প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানার পর বলতে পারবেন তিনি।
যে কোনো জীবের জীনগত বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে তার ডিএনএ কিংবা আরএনএ। মানুষের ক্ষেত্রে ডিএনএ এর নির্ধারক হলেও করোনাভাইরাসের মতো জীবাণুর ক্ষেত্রে এর নির্ধারক আরএনএ।
আরএনএ সাধারণভাবেই ডিএনএর তুলনায় পরিবর্তনপ্রবণ বলে করোনাভাইরাস বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণের ক্ষেত্রে তার রূপ বদলাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের দুই গবেষক বিভিন্ন দেশের নমুনা পরীক্ষা করে বলেছেন, নতুন করোনাভাইরাস চীনে মানবদেহে সংক্রমণ ঘটানোর পর এক ডজনের বেশি বার রূপ বদলেছে।
কীভাবে রূপ বদলাচ্ছে নতুন করোনাভাইরাস, দেখালেন দুই বাঙালি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখন পর্যন্ত মোটা দাগে নভেল করোনাভাইরাসের তিনটি ধরনের কথা জানা গেছে। বাংলাদেশে যে ভাইরাস এসেছে সেটা পরিবর্তিত হচ্ছে।
“কাজেই আমাদের দেশে কয় ধরনের ভাইরাস এসেছে এবং সেগুলোর ওপর কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে সেটা বুঝতে গেলে অনেকগুলো নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। যত বেশি করা যায়। তাহলে এটার একটা তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যাবে। কিন্তু যদি একটা নমুনা নিয়ে করে থাকে তাহলে পুরো চিত্র পাওয়া যাবে না। এজন্য দেখতে হবে উনারা কতগুলো নমুনা পরীক্ষা করেছেন। ”
[ad_2]