[ad_1]
রোববার ওই কারখানার শ্রমিকদের এপ্রিল মাসের বেতনের ৬০ শতাংশ দেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার শ্রমিকরা কারখানায় এসে পুরো মজুরির দাবিতে ভাংচুর শুরু করেন।
পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা ভিডিওতে জনা পঞ্চাশেক শ্রমিককে ঢিল ছুড়ে কারখানার গেইটের কাচ ভাঙতে দেখা গেছে। শ্রমিকরা কারখানার কয়েকটি যানবাহনও ভাংচুর করেন।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার বলেন, “এপ্রিল মাসের শতভাগ বেতনের দাবিতে করে সোমবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। একপর্যায়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল করে কারখানার সামনে এসে অবস্থান নেন।
“খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু মালিকপক্ষ এবং পুলিশের প্রস্তাব উপেক্ষা করে শ্রমিকদের একটি অংশ হামলা চালান। এ সময় কারখানার কাচ, আসবাবপত্র, যানবাহন এবং মূল ফটকের সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। ”
পরে মালিকপক্ষের সঙ্গে পুলিশের বৈঠক শুরু হলে দুপুর আড়াইটার দিকে শ্রমিকরা সেখান থেকে চলে যান বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সুশান্ত ।।
ডিবিএল গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার ও বিজিএমইএর সহসভাপতি এমএ রহিম ফিরোজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শ্রমিকরা গতকাল বেতন হাতে পাওয়ার পর আজকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিল। সেখান থেকে উঠে গিয়ে তারা বিক্ষোভ শুরু করে।
“সরকার ৬০ শতাংশ বেতন দিতে বলে দিয়েছে। কিন্তু তারা শতভাগ বেতনের দাবিতে এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে। অথচ মার্চ মাসের ২৫ তারিখ থেকে এপ্রিলের ২৬ তারিখ পর্যন্ত আমার ফ্যাক্টরিতে কোনো কাজই হয়নি। ”
রহিম ফিরোজ বলেন, “ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না; ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণা করা যাবে না বলে সরকার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এখন তারা কালকে এসে যদি ফ্যাক্টরিতে আগুন ধরিয়ে দেয়, আমাদের কিছুই করার থাকবে না। কারণ সরকারি সিদ্ধান্তের পর আমাদের হাত-পা এখন বাঁধা। ”
ডিবিএল গ্রুপে প্রায় ৩৬ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। যে কারখানায় ভাংচুর হয়েছে সেখানেই ২৪ হাজার শ্রমিক।
করোনাভাইরাস প্রদুর্ভাবেও কারখানায় ৭৫ শতাংশের বেশি শ্রমিক উপস্থিতি রয়েছে বলে মালিকপক্ষ জানিয়েছে।
রহিম ফিরোজ বলেন, শত শত শ্রমিক কাজ ছেড়ে চলে গেলেও ভাংচুরে অংশ নিয়েছে ৪০ থেকে ৫০ জন শ্রমিক। তারা এসব শ্রমিকদের চিহ্নিত করেছেন।
নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে পুরো এপ্রিল মাস জুড়েই দেশের অধিকাংশ পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। এই সময়ের মধ্যে লে অফ ঘোষণা না করে অনুপস্থিত শ্রমিকদেরকে ৬০ শতাংশ মজুরি দিতে বলে দিয়েছে শ্রম মন্ত্রণালয়।
পরে আরেকটি আদেশে ৬৫ শতাংশ মজুরি পরিশোধের কথা বলা হয়। অবশ্য সংযুক্ত পাঁচ শতাংশ দিতে হবে মে মাসের বেতনের সঙ্গে।
সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে পোশাক শ্রমিকদের বেতন দিতে মাত্র দুই শতাংশ সুদে মালিকদেরকে প্রয়োজনীয় অর্থ হস্তান্তর করেছে সরকার।
[ad_2]